১. কুরআন, হাদীস, তাফসীর, ফিকহ্, আকায়েদ, কালাম এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য ধর্মীয় জ্ঞান শিক্ষা দেয়া।
২. কুরআন-হাদীস ইসলামের মূল উৎস, যার ভাষা আরবী। আরবী ভাষায় পারদর্শী হওয়া ব্যতিত ভালোভাবে কুরআন-হাদীস বুঝা সম্ভব নয়। তাই আরবী ভাষায় দক্ষতা অর্জনের জন্য অন্যান্য শাস্ত্র, যেমন – নাহ্ব, সরফ, বালাগাত, আদব তথা আরবী সাহিত্য ইত্যাদি শিক্ষা দেয়া। এমনিভাবে আকাবির ও আসলাফের জ্ঞানভান্ডার থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য উর্দূ ও ফারসী ভাষা শিক্ষা দেয়া। দ্বীনের প্রচার-প্রসার ও ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য প্রয়োজন পরিমাণ বাংলা ও ইংরেজী ভাষা শিক্ষা দেয়া।
৩. লিখনী ও বয়ান – বক্তৃতার মাধ্যমে দ্বীনের হেফাজত, বদ – দ্বীনের মূলোৎপাটন এবং ইসলামের প্রচার – প্রসারের খেদমত আঞ্জাম দেয়া। এবং দ্বীনি তা‘লীম ও তাবলীগের মাধ্যমে মুসলমানদের মাঝে সালাফে সালেহীনের ন্যায় আমল – আখলাক ও দ্বীনি চেতনা সৃষ্টি করা।
৪. সুচিন্তিত ও সুবিন্যস্ত পাঠদান এবং যথাযথ তরবিয়তের মাধ্যমে সংযমী, পরিশ্রমী, খোদাভীরু, চরিত্রবান কিছু তালিবে ইলম গড়ে তোলা, যারা ইলম – আমল, তাকওয়া – পরহেযগারী, চিন্তা – চেতনা, আচরণ – উচ্চারণ, রুহানিয়্যাত ও আধ্যাতিকতায় আকাবির ও আসলাফের আদর্শ নমুনা হবে।
৫. মাদরাসার মাসলাক-মাশরাব পরিপন্থী সব ধরণের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে তালিবে ইলমদেরকে ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুন শিক্ষা দেয়া। এবং লোভ-লালসা ও অপশিক্ষা – অপসংস্কৃতির প্রভাব থেকে তাদের মন – মানসকে মুক্ত রাখা।
৬. দ্বীনি ইলম চর্চা ও তা প্রচার-প্রসারের লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা। এবং দারুল উলূম দেওবন্দের পাঠ্যসূচি ও আদর্শ বাস্তবায়ন করা।