মূলনীতি ও গঠনতন্ত্র

بسم الله الرحمن الرحيم
نحمده ونصلي على رسوله الكريم
উলূমে ইসলামিয়ার উৎস-মূল মহাগ্রন্থ আল কুরআনের নামে অত্র মাদ্রাসার নাম করণ করা হইয়াছে এবং ইনশা’আল্লাহ কয়েক বছরের মধ্যে যখন ইহা দারুল উলূম ও জামিয়ার স্তরে পৌঁছিবে তখনও কুরআনিয়া শব্দ বহাল থাকিবে। তখন নাম হইবে “জামিয়া কুরআনিয়া ইমদাদুল উলূম।”
(ইহা ১২/১১/২০০৩ ঈসায়ীতে অনুষ্ঠিত মজলিশে শুরার মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হইয়া কার্যকর হয়। দেখুন সভা নং ৭, রেজু : ৪)
এইরূপ নাম করণের জন্য পরামর্শ দিয়াছেন হাদিয়ে যামান, আরিফে রাব্বানী, ওলীকুল শিরোমণি হযরত মাও: সুলতান আহমদ নানুপুরী (রাহ.)। তাঁহার নির্দেশ ও রাহনুমায়ীতেই অত্র প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব।
শায়খুল মাশায়েখ হযরত মাও: হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী ও তাঁহার শাগরেদ হযরত মাও: কাছেম নানুতবী, হযরত মাও: রশীদ আহমদ গাংগুহী, হযরত মাও: আশরাফ আলী থানবী কুদ্দিসা র্সিরুহুমের রূহানিয়্যাতে ইহা সমৃদ্ধ-এজন্য ইহার প্রতি নিবদ্ধ রহিয়াছে স্বনামখ্যাত উলামায়ে কেরাম ও বুযুর্গানেদীনের নেক তাওয়াজ্জুহ ও বিশেষ দৃষ্টি।

ফুলছোঁয়া কুরআনিয়া মাদ্রাসা একটি খালেস কওমী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। চাঁদপুরের অন্তর্গত হাজীগঞ্জ থানাধীন ফুলছোঁয়া গ্রামের মরহুম জমীরুদ্দীন মোল্লা সাহেবের পুত্র জনাব মৌলবী আ: লতীফ মোল্লা সাহেব নিজ গ্রামে তাঁহার নিজ মালিকানাধীন ৩০ শতাংশ জমি একটি কওমী দীনি মাদ্রাসার জন্য রেজেষ্ট্রীকৃত দলীল দ্বারা দান পত্র (ওয়াক্ফ) করিয়া দিয়াছেন। উহাতে এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। অতপর উক্ত গ্রামের জনাব মুসলিম বেপারী ও অন্যান্যদের দানকৃত এবং মাদ্রাসার ক্রয়কৃত জায়গায় ইহা সম্প্রসারিত হইয়াছে এবং হইবে ইনশা’আল্লাহ।

 

(১) মাদ্রাসার মত, পথ ও মূলনীতি
(ক) ফুলছোঁয়া কুরআনিয়া মাদ্রাসা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত, হানাফী মাযহাব এবং আকাবিরে উলামায়ে দেওবন্দের মত ও পথ অবলম্বন করিয়া চলিবে এবং সর্বব্যাপারে আযিমতের উপর আমল করিবে। অনন্যোপায় অবস্থায় রুখসতের উপর আমল করিবে।
(খ) উপরোক্ত মূলনীতির সংরক্ষণ মাদ্রাসার সকল সদস্য ও কর্মচারীবৃন্দের অবশ্য কর্তব্য হইবে।
(গ) মাদ্রাসার শিক্ষা ও গঠন পদ্ধতি আকাবিরে উলামায়ে কেরামের গৃহিত নিয়মানুসারে চলিবে এবং চরিত্র গঠন ও সংশোধন পূর্বকালীন বুযুর্গগণের তরীকা অনুসারে চলিবে।
(ঘ) মাদ্রাসার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং স্বার্থের পরিপন্থী কোন সংগঠন ও সভা সমিতিতে যোগদান মাদ্রাসার সকল কর্মচারী ও ছাত্রদের জন্য নিষিদ্ধ।
(ঙ) সাধারণ অবস্থা ও সাময়িক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কোন কাজ মাদ্রাসার উদ্দেশ্য ও স্বার্থের পরিপন্থি কিনা তাহা মুহতামিম ও প্রধান শিক্ষকের যৌথ পরামর্শে স্থিরিকৃত হইবে। এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে মুহতামিমের নির্দেশাবলী কার্যকর করণে সহায়তা করা মাদ্রাসার সহিত সংশ্লিষ্ট সকলেরই অবশ্য কর্তব্য হইবে।
(চ) কোন বিশেষ পরিস্থিতিতে কোন বিষয়ে সন্দেহের উদ্রেক হইলে মাদ্রাসার মত ও পথের ব্যাখ্যা এবং এ সম্পর্কে ঘোষণা প্রদান অথবা বক্তৃতার মাধ্যমে সন্দেহ নিরসন-এর অধিকার মজলিসে শূরা অথবা মুহতামিমের থাকিবে।

 

(২) মাদ্রাসার বিভাগসমূহ
(ক) শিক্ষা ও চরিত্র গঠন বিভাগ।
(খ) ফতওয়া বিভাগ।
(গ) তাবলীগ বিভাগ।
(ঘ) পুস্তক প্রণয়ন ও সংকলন বিভাগ
(ঙ) শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিভাগ
(চ) গবেষণা বিভাগ
(ছ) পাঠাগার বিভাগ
(জ) কিতাবাত বা সু-লেখা বিভাগ
(ঝ) অর্থ বিভাগ
(ঞ) বাবুর্চী খানা
(ট) কলা ও কারিগরি বিভাগ।

 

(৩) সদস্যগণের যোগ্যতা ও শর্তাবলী মাদ্রাসার সকল সদস্যের জন্য নিম্ন লিখিত যোগ্যতা ও শর্ত অপরিহার্য:
(ক) ধর্মপরায়ণ বালেগ মুসলমান হওয়া।
(খ) মাদ্রাসার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের প্রতি পূর্ণ আস্থাবান হওয়া।
(গ) মাদ্রাসার শিক্ষা-দীক্ষার প্রতি আগ্রহী ও অনুরাগী হওয়া।
(ঘ) মাদ্রাসার মত, পথ ও মূলনীতির অনুসারী হওয়া।
(ঙ) প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বর্তমান ও ভবিষ্যতে তাঁহার দ্বারা মাদ্রাসার কোন প্রকার ক্ষতির আশংকা না থাকা।

 

(৪) পৃষ্ঠপোষক ও তাঁহার যোগ্যতা:

যাঁহার নির্দেশ ও পরামর্শে মাদ্রাসার কাজ-কর্ম, শিক্ষা-দীক্ষা ও রুহানী উন্নতি সাধন হইতে পারে এমন বিশিষ্ট এক বা একাধিক দেশী বা বিদেশী নিম্ন গুণাবলি সম্পন্ন গণ্যমান্য আলেমকে মজলিসে শূরার পৃষ্ঠপোষক নির্বাচন করিতে পারিবে:
(ক) ধর্মবিষয়ে সর্ববিদ্যা বিশারদ অভিজ্ঞ আলেম হওয়া।
(খ) তাকওয়া ও পরহেযগারীতে শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী হওয়া।
(গ) প্রভাবশালী ও বিচার বুদ্ধিসম্পন্ন হওয়া।

 

(৫) মাদ্রাসার পরিষদসমূহ:

মাদ্রাসায় নিম্নলিখিত তিনটি পরিষদ থাকিবে
(ক) মজলিসে শূরা
(খ) মজলিসে আমেলা
(গ) মজলিসে ইলমী (শিক্ষাপরিষদ)।

 

(৬) মজলিসে শূরা:

মজলিসে শূরা মাদ্রাসার সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পরিষদ। মাদ্রাসা পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার পূর্ণ ক্ষমতা এই পরিষদের উপর ন্যস্ত থাকিবে। মজলিসে শূরাই অত্র মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি। মজলিসে শূরার অধিকার ও কর্তব্য
(ক) মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য আইন-কানুন প্রণয়ন এবং পূর্ব আইন-কানুন রহিত বা সংশোধন এবং নতুন আইন-কানুন সংযোজন করণ।
(খ) মাদ্রাসার মত ও পথ এবং মূলনীতির সংরক্ষণ।
(গ) মাদরাসার সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য বিভিন্ন বিভাগ প্রতিষ্ঠা এবং আবশ্যক বোধে একাধিক বিভাগকে একত্রিত করণ। মজলিসে শূরার সকল পদক্ষেপ ও ফায়সালা ইসলামী শরীয়ত ও মাদ্রাসার মত, পথ ও মূলনীতির মোতাবেক হইতে হইবে। শরীয়ত ও মাদ্রাসার মত, পথ ও মূলনীতির খেলাফ কোন সিদ্ধান্ত করণীয় ও বাস্তবায়ন যোগ্য হইবে না। চাই উক্ত সিদ্ধান্ত অধিকাংশের অথবা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হউক।
(ঘ) স্থায়ী বা অস্থায়ী সাব কমিটি গঠন, ইহার সদস্যসংখ্যা নির্ধারণ, অধিকার ও কর্তব্য স্থিরীকরণ, কার্যকাল নিরূপণ এবং প্রয়োজন বোধে প্রতিষ্ঠিত বিভাগ ও জামাত রহিত করণ।
(ঙ) মাদ্রাসার কর্মচারী নিয়োগ ও পদচ্যুতি, পদোন্নতি ও পদাবনতি করণ, বেতন, পদ ও পদের কর্তব্য নির্ধারণ এবং পদ ও কর্তব্য পরিবর্তন করণ।
(চ) অধীন সাব কমিটিসমূহের রিপোর্ট পর্যালোচনান্তে ইহাদের প্রস্তাবসমূহ মন্জুর বা না-মন্জুর করণ।
(ছ) মজলিসে আমেলার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল শ্রবণ একং চূড়ান্ত মীমাংসা প্রদান।
(জ) স্বীয় অধিকার সমূহের এক বা একাধিক অধিকার কোন বিশেষ সদস্য, পদাধিকারী বা অধীন সাব কমিটির উপর অর্পণ করণ।
(ঝ) মাদ্রাসার অর্থ সংরক্ষণ, ইহার আয়-ব্যয়ের নীতি নির্ধারণ এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব পরীক্ষা করণ।
(ঞ) প্রতিষ্ঠান ও ছাত্রদের প্রয়োজনাদী নির্ধারণ এবং এগুলি পূরনের ব্যবস্থা করণ।
(ট) বৎসর শেষে হিসাব অডিট করানো এবং ইহার অনুমোদন প্রদান।
(ঠ) প্রয়োজনীয় মুহূর্তে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় কোন ব্যাপারে মাদ্রাসার কর্ম-পদ্ধতি নির্ধারণ ও ঘোষণা করণ।
(ড) মজলিসে শূরা সকল চাঁদাদাতা ও সাহায্যকারীর উকিল (প্রতিনিধি) হিসাবে গণ্য হইবে।
(ঢ) উপরোক্ত ক্ষমতা ছাড়াও মাদ্রাসার অক্ষুন্নতা, সমৃদ্ধি সাধন ও উন্নতি এবং ইহার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য আবশ্যক বা সহায়ক যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণের পূর্ণ অধিকার মজলিসে শূরার থাকিবে।
(ন) পরিচালনা বিভাগ ও শিক্ষা বিভাগকে অন্তত এক সপ্তাহের নোটিশে মাদ্রাসার যে কোন বিভাগ পরিদর্শন করত: যথাযথ মন্তব্য লিপিবদ্ধ করিবার অধিকার মজলিসে শূরার প্রত্যেক সদস্যের থাকিবে।

 

(৭) মজলিসে শূরা গঠন
(ক) ঊর্ধ্বে সর্বমোট ২৭ জন সদস্য সমন্বয়ে মজলিসে শূরা গঠিত হইবে। কমপক্ষে ৯ জন সদস্য ওয়াকিফ কর্তৃক নির্বাচিত হইলেই ইহা মজলিশে শূরার যাবতীয় অধিকারে অধিকারী বলিয়া পরিগণিত হইবে।
(খ) বর্তমান সদস্যগণের পারস্পরিক পরামর্শ, আলোচনা ও পর্যালোচনার মাধ্যমে উপযুক্ত ব্যক্তি দ্বারা সদস্যপদের শূন্যপদ পূরণ করিতে হইবে। কোন কারণ বশত: এই পদ্ধতিতে শূন্যপদ পূরণ অসম্ভব হইলে মজলিসে শূরার বৈঠকে উপযুক্ত লোকদের নামে কুরআ আন্দাযী দ্বারা শূন্যপদ পূরণ করিতে হইবে।
(গ) মজলিশে শূরা সদস্যদের মধ্যে সভাপতিসহ দুই তৃতীয়াংশ অবশ্যই খাঁটি আলেমে হক্কানী রাব্বানী হইতে হইবে। আর অপর সকল সদস্যের বেলায় ৩য় ধারায় বর্ণিত যোগ্যতা ও শর্ত প্রজোয্য হইবে। তদুপরি তাঁহাকে অবশ্যই প্রভাবশালী, বিচার-বুদ্ধি সম্পন্ন ও শরীয়তের পাবন্দ হইতে হইবে। মজলিসে শূরার সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমন ব্যক্তিবর্গকে প্রাধান্য দেওয়া হইবে, যাহাদের বিশেষ শাস্ত্র বা বিষয়ে এমন জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থাকে যে, তাহাদের তত্ত্বাবধান ও অভিজ্ঞতা দ্বারা মাদ্রাসার কোন বিভাগ নিয়ম-শৃঙ্খলা অথবা আর্থিক বিষয়ে উপকৃত হইতে পারে।
(ঘ) মাদ্রাসার জমির ওয়াকিফ বা দানপত্রকারী আজীবন মজলিশে শূরার সদস্য থাকিবেন।
(ঙ) মাদ্রাসার মুহতামিম ও সদরুল মুর্দারিসীন (প্রধান শিক্ষক) পদাধিকার বলে মজলিসে শূরার সদস্য থাকিবেন। তদুপরি মাদ্রাসার শিক্ষকদের মধ্য হইতে তাঁহাদের মনোনীত দুইজন প্রতিনিধি মজলিশে শূরার সদস্য হইবেন। কিন্তু মজলিসে শূরার আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে যে সব বিষয় শিক্ষক প্রতিনিধিদ্বয়ের স্বার্থের সহিত সংশ্লিষ্ট নহে কেবল সে সব বিষয়েই তাঁহাদের মতামত গৃহিত হইবে। আর তাঁহারাও মোট সদস্য সংখ্যার মধ্যে গণ্য হইবেন।

 

(৮) মজলিসে শূরার সভাপতি
(ক) মজলিসে শূরার সদস্যগণের মধ্যে যাঁহার ইলম ও শ্রেষ্ঠত্ সম্পর্কে সকলেই একমত, যিনি তাকওয়া ও পরহেযগারীতে বৈশিষ্টের অধিকারী, বিচার-বুদ্ধি সম্পন্ন ও বিচক্ষণ, প্রভাবশালী, নির্ভীক এবং মাদ্রাসার জন্য ত্যাগস্বীকারকারী, এমন ব্যক্তিকে মজলিসে শূরার সভাপতি মনোনীত করিতে হইবে।
(খ) কোন সভায় সভাপতি অনুপস্থিত থাকিলে সদস্যগণের মধ্য হইতে মজলিসে শূরার সম্পাদক অর্থাৎ মাদ্রাসার মুহতামিমের প্রস্তাবক্রমে কোন সদস্যকে সভাপতি করিয়া সভার কার্য পরিচালিত হইবে।
(গ) মাদ্রাসার মুহতামিম মজলিসে শূরা ও মজলিসে আমেলার নাযেম (সম্পাদক) থাকিবেন।

 

(৯) মজলিসে শূরার সদস্যপদ শূন্য হওয়ার প্রণালী:

নিম্নলিখিত উপায়ে মজলিসে শূরার সদস্যপদ শূন্য হইবে
(ক) সদস্যের ইন্তেকাল হইলে ।
(খ) সদস্যপদ হইতে ইস্তেফা দিলে যদি ইহা মজলিশে শূরা কর্তৃক গৃহীত হয়।
(গ) কোন যুক্তি সংগত কারণ ব্যতিত ক্রমাগত তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকার দরুন মজলিসে শূরা তাঁহাকে সদস্যপদ হইতে অপসারণ করিলে।
(ঘ) কোন সদস্য মাদ্রাসার পক্ষে অহিতকর কোন কার্য করিলে মজলিসে শূরা যদি তাঁহার সদস্যপদ বাতিল করে।
(ঙ) উপরোক্ত ধারায় কাহাকেও সদস্যপদ হইতে অপসারণ করিতে হইলে সভার আলোচ্যসূচীতে ইহার উল্লেখ থাকিতে হইবে এবং অভিযুক্ত সদস্যকে আত্নপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হইবে। তৎপর সংখ্যা গরিষ্ঠের মতে তাঁহাকে অপসারণ করা যাইবে। অভিযুক্ত সদস্য সাফাই পেশ করার পর সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় সভায় উপস্থিত থাকিতে পারিবেন না। সভার আলোচ্যসূচিতে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও অভিযুক্ত সদস্য যদি সভায় উপস্থিত না হন, তবে তাঁহার অনুপস্থিতেই মজলিসে শূরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবে।

 

(১০) মজলিসে শূরার সভা
(ক) বৎসরে কমপক্ষে মজলিসে শূরার দুইটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হইতে হইবে।
(খ) নিয়মিত সভার নোটিশ কম্পক্ষে সভার ১৫ দিন পূর্বে এবং ইহার আলোচ্যসূচী ৮ দিন পূর্বে আর জরুরী সভার নোটিশ আলোচ্য বিষয়সহ সভার এক সপ্তাহ পূর্বে দিতে হইবে। তবে সদস্যগণের সহিত যোগাযোগ করা সম্ভব হইলে জরুরী সভার নোটিশ আলোচ্য বিষয়সহ সংগতিপূর্ণ সময় কাল পূর্বে দিলেও চলিবে।

 

(১১) মজলিসে শূরার জরুরী সভা আহ্বানের কারণ নিয়মিত বৈঠক ব্যতিত নিম্ন লিখিত কারণে মজলিসে শূরার জরুরী বৈঠক আহ্বান করা যাইতে পারে:
(ক) স্বয়ং মজলিসে শূরাই যদি কোন বিশেষ প্রয়োজনে জরুরী সভা আহ্বানের সিদ্ধান্ত স্বীয় বৈঠকে গ্রহণ করে।
(খ) মাদ্রাসার মুহতামিম বা মজলিসে শূরার সভাপতি যদি জরুরী সভা আহ্বানের প্রয়োজন বোধ করেন।
(গ) মজলিসে আমেলা যদি জরুরী সভা আহ্বানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
(ঘ) মজলিসে শূরার কোন সদস্য যদি লিখিতভাবে সভা আহ্বানের দাবী জানান এবং আরও ছয়জন তাঁহাকে সমর্থন করেন তবে এইরূপ লিখিত দাবী মুহতামিমের হস্তগত হইলে তারিখ নির্ধারিত করিয়া সভা আহ্বান করা মুহতামিমের কর্তব্য হইবে। এইরূপ লিখিত দাবী মুহতামিমের হস্তগত হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তিনি সভা আহ্বান না করিলে উক্ত সদস্যের নিজেরাই তারিখ নির্ধারণ করতঃ পরিস্থিতি ব্যাখ্যা পূর্বক সভা আহ্বানের অধিকার থাকিবে।

 

(১২) মজলিসে শূরা ও মজলিসে আমেলার সভাপতির অধিকার ও কর্তব্য:

মজলিসে শূরা ও মজলিসে আমেলার সভাপতির অধিকার ও কর্তব্য নিম্নরূপ
(ক) আলোচ্য বিষয়ের দফাসমূহের ক্রমানুসারে সভার কার্য সম্পাদনের নির্দেশ প্রদান।
(খ) যুক্তিসঙ্গত কারণে আলোচ্যসূচীর আনুপূর্ব্য পরিবর্তন করত: কোন দফার আলোচনায় অগ্রপশ্চাৎ করা।
(গ) সভার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, কোন সদস্যের বে-আইনি তর্ক-বিতর্ক বা অশোভনীয় উক্তি প্রতিরোধ করা। তাঁহার নির্দেশ অমান্য করিলে সেই সদস্যকে বৈঠক হইতে উঠাইয়া দেওয়া।
(ঘ) সভায় কোন ফেতনার সৃষ্টি হইলে সভা সমাপ্ত বা মুলতবী করা।
(ঙ) আলোচ্য বিষয়বহির্ভূত এমন জরুরী কিংবা আকস্মিক বিষয় যাহার আলোচনা বিলম্বিত ও মুলতবী হইলে কোনরূপ ক্ষতির আশংকা রহিয়াছে উহা নিজে উত্থাপন করা অথবা অন্যকে উত্থাপন করিতে দেওয়া।
(চ) দীর্ঘ আলোচনার প্রয়োজন হইলে বৈঠকের সময়সীমা বৃদ্ধি এবং কাজ শেষ হইলে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা।
(ছ) কোন বিষয়ে আলোচনার অনুমতি দান, বাঁধা প্রদান বা ইহাকে পরবর্তী সভার জন্য মওকুফ করা, আলোচনার পর মতামত গ্রহণ এবং সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা এ ধরনের সকল ব্যাপারে সভাপতির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত এবং তাঁহার নির্দেশ পালন অপরিহার্য বিবেচিত হইবে।

 

(১৩) মজলিসে শূরার সভার কোরাম
(ক) সভার কোরাম হওয়ার জন্য নাযেম ব্যতীত কমপক্ষে সদস্যদের আরো এক তৃতীয় অংশের উপস্থিতি জরুরী। তবে সদস্য সংখ্যা ৯ এর অধিক হওয়ার পর নাযেমসহ এক তৃতীয়াংশ উপস্থিত হইলেই কোরাম হইয়া যাইবে।
(খ) মূলতবী সভার জন্য কোরাম জরুরী নহে। যদি স্পষ্টভাবে ঘোষণা করা হইয়া থাকে যে, ইহা মূলতবী সভা। কিন্তু এরূপ মূলতবী সভায় পূর্বঘোষিত আলোচ্য বিষয় ব্যতিত কোন নতুন বিষয়ের আলোচনা হইতে পারিবে না।

 

(১৪) মজলিসে শূরার কার্য সম্পাদন
(ক) মজলিসে আমেলা হইতে আগত এবং মুহতামিম ও সভাপতি যা উত্থাপন করা সমীচীন মনে করেন এমন সব বিষয় সাধারণ বা জরুরী সভার আলোচ্যসূচীর অন্তর্ভূক্ত করা হইবে।
(খ) যে সব বিষয়ে শরীয়তে কোন স্পষ্ট বিধান নাই সেই সব বিষয়ে মজলিসে শূরা এবং নিম্ন পরিষদসমূহের যথাসম্ভব সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে হইবে। কিন্তু খোদা না করুন, সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অসম্ভব হইলে অধিকাংশ ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহিত হইবে। উভয়পক্ষে সমান ভোট হইয়া পড়িলে চূড়ান্ত ফয়সালা দানের অধিকার সভাপতির থাকিবে; যদিও তাহার ব্যক্তিগত ভোট লইয়াই উভয়পক্ষে সমান ভোট হইয়া পড়িয়াছিল। তবে এ ব্যাপারটি যদি জায়েয-নাজায়েযের হয় তাহা হইলে দেশের বিখ্যাত তিনটি দারুল ইফতার প্রধান মুফতীদের সিদ্ধান্তানুযায়ী ফায়সালা হইতে হইবে।
(গ) সভার তারিখে নির্ধারিত সময়ে কোরাম পূর্ণ হইলে সভার কার্য শুরু হইবে। বিলম্বে আগত সদস্যদের ইহাতে কোন আপত্তি করার অধিকার থাকিবেনা এবং সিদ্ধান্ত গৃহিত হওয়ার পর সে বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করা হইবে না।
(ঘ) সভার বৈঠক চলাকালীন অথবা উহার ২/১ দিন পূর্বে ছাত্র, শিক্ষক বা কর্মচারীগণ কর্তৃক পেশকৃত কোন দরখাস্ত সভায় উত্থাপন করা যাইবে না। কিন্তু ইহার কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সভায় উত্থাপনের উপযোগী বিবেচিত হইলে সভার কোন সদস্য সভাপতির অনুমতিক্রমে ইহা প্রস্তাবাকারে পেশ করিতে পারিবেন।
(ঙ) মজলিসে শূরা ও নিম্ন পরিষদসমূহের কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করিতে হইবে এবং বৈঠক শেষে কার্য বিবরণীর শেষভাগে সভার সভাপতির দস্তখত থাকিতে হইবে।
(চ) মজলিসের সিদ্ধান্ত অটল এবং ইহার বাস্তবায়ন অবশ্য কর্তব্য। কিন্তু কোন বিশেষ পরিস্থিতির উদ্ভব হওয়ায় বা অনিবার্য কারণে মজলিসে শূরার কোন সিদ্ধান্ত মূলতবী করা মাদরাসার জন্য কল্যাণকর বোধ হইলে মজলিশে শূরার লিখিত অনুমোদনক্রমে ইহা পরবর্তী সভা পর্যন্ত মুলতবী রাখা যাইতে পারে। আর মজলিসে শূূরার বৈঠক পরিসমাপ্তির পর এই পরিস্থিতি বা কারণ দেখা দিলে মজলিসে আমেলার সুপারিশে মজলিসে শূরার পরবর্তী সভা পর্যন্ত ইহা মুলতবী রাখা যাইবে।
(ছ) মজলিসে শূরার কোন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে পুনর্বিবেচনার আবশ্যকতা দেখা দিলে মজলিসে শূরার অধিকাংশ সদস্যের লিখিত দরখাস্তের উপর উহা করা যাইতে পারে। কিন্তু উহা সেই বৈঠকেই পেশ করা যাইবে যাহার আলোচ্য সূচীতে উহার এবং দস্তখতকারী সদস্যগণের নাম উল্লেখ থাকে।
(জ) মজলিসে শূরা এবং মজলিসে আমেলার সভায় অনুপস্থিত সদস্যগণের লিখিত মতামত গ্রহণযোগ্য হইবে না।
(ঝ) মজলিসে শূূরা এবং মজলিসে আমেলার সদস্যগণ স্ব-স্ব সাধারণ বা জরুরী সভায় বৈঠক আরম্ভ হওয়ার পূর্বে অথবা বৈঠক চলাকালে সভাপতির অনুমতিক্রমে বিভিন্ন বিভাগ, শিক্ষা ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন। তবে শর্ত এই যে, সভার নির্ধারিত তারিখের অন্তত এক সপ্তাহ পূর্বে এই সকল প্রশ্নপত্র মাদ্রাসার দফতরে পৌঁছাইতে হইবে। সেই কর্মকর্তা মজলিসে শূূরা বা মজলিসে আমেলার সদস্য না হইলে জবাব দেয়া মুহতামিমের দায়িত্ব। কিন্তু তজ্জন্য তাহাকে সময় দেয়া যাইতে পারে।
(ঞ) সভার প্রত্যেক বৈঠকের পূর্বে মাদ্রাসার প্রতিটি বিভাগ পরিদর্শন ও পরিদর্শনরিপোর্ট সভায় পেশ করিবার অধিকার প্রত্যেক সদস্যের থাকিবে, যদিও সভার আলোচ্যসূচীতে এই রিপোর্ট পেশের উল্লেখ না থাকে।

 

(১৫) মজলিসে আমেলা:
মজলিসে আমেলা একটি স্বতন্ত্র নিম্নপরিষদ। মজলিসে শূরা হইতে ইহা নিম্ন বর্ণিত অধিকার লাভ করিবে এবং ইহার সকল কার্যকলাপের জন্য ইহা মজলিসে শূরার নিকট দায়ী থাকিবে।
(ক) মজলিসে আমেলার ৭ জন সদস্য থাকিবে। মাদরাসার মুহতামিম এবং নায়েবে মুহতামিম পদাধিকার বলে ইহার সদস্য হইবেন এবং তাহারা মাদরাসার শিক্ষকগণের মধ্য হইতে দুইজন প্রতিনিধি মনোনীত করিবেন; তাহারাও মজলিসে আমেলার সদস্য হইবেন। বাকী ৩ জন মজলিসে শূরার সদস্যগণের মধ্য হইতে মনোনীত হইবেন। মজলিসে আমেলার কোরাম হওয়ার জন্য কমপক্ষে ৪ জন সদস্যের উপস্থিতি জরুরী।
(খ) মুহতামিম পদাধিকার বলে উক্ত মজলিসের সম্পাদক থাকিবেন এবং সভাপতি শূরা প্রণালীতে মনোনীত হইবে।
(গ) বৎসরে একবার এই পরিষদ শূরা কর্তৃক সংগঠিত হইবে।

 

(১৬) মজলিসে আমেলার ক্ষমতা:

মজলিসে আমেলার মজলিসে শূরার পক্ষ হইতে নিম্নলিখিত অধিকার থাকিবে।
(ক) তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ ও পদচ্যুতি, পদোন্নতি ও পদাবনতি, পরিব্রতন ও স্থানান্তর করণ এবং বেতন নির্ধারণ মজলিসে আমেলার অধিকারভূক্ত। কিন্তু মজলিসে আমেলা কোন নতুন পদ সৃজন এবং নতুন বেতন জারী করা প্রয়োজন বোধ করিলে মজলিসে শূরার অনুমোদনক্রমে উহা করিতে হইবে।
(খ) আকস্মিক প্রয়োজনে আর্থিক সংগতি থাকিলে মুহতামিমের লিখিত সুপারিশে ব্যয়ের অনুমতি প্রদান করা।
(গ) মুহতামিমের সিদ্ধান্ত সম্পর্কিত আপীলশ্রবণ ও উহার ফায়সালা প্রদান করা।
(ঘ) কোন বিশেষ প্রয়োজনে স্বীয় ক্ষমতা সমূহের এক বা একাধিক ক্ষমতা মজলিসে আমেলার কোন এক বা একাধিক সদস্যের উপর অর্পণ করা বা প্রদত্ত ক্ষমতা তাহার বা তাহাদের নিকট হইতে ফিরাইয়া লওয়া।

 

(১৭) মজলিসে আমেলার কর্তব্য:

মজলিসে আমেলার কর্তব্য নিম্নরূপ
(ক) মজলিসে শূরার সিদ্ধান্ত ও গৃহীত প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জিম্মাদার ব্যক্তিবর্গের কর্মপদ্ধতির প্রতি লক্ষ্য রাখা।
(খ) পাঠ্যসূচী প্রণয়ন,শিক্ষার শৃঙ্খলা পর্যবেক্ষণ,পাঠদানপ্রণালী পরিদর্শন এবং শিক্ষাপরিষদের কার্যকলাপের প্রতি লক্ষ্য রাখা।
(গ) মাদরাসার বিভিন্ন বিভাগের তত্ত্বাবধান এবং ইহাদের জন্য আইনকানুন প্রণয়ন করা।
(ঘ) শিক্ষাপরিষদের কর্তব্য ও অধিকার নির্ধারণ করা।
(ঙ) হিসাব ও অর্থবিভাগের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা।
(চ) আয় ব্যয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখা।
(ছ) বাবুর্চীখানার জিনিষপত্র খরিদ, খানা তৈয়ারী ও ইহার বন্টন এবং ছাত্রদের যাবতীয় প্রয়োজনের পর্যবেক্ষণ করা।
(জ) প্রতিটি বৈঠকের সময় মাদরাসার প্রত্যেক বিভাগ এবং উহার কর্মীদের কর্মপ্রণালী পরীক্ষা করা।
(ঝ) প্রয়োজন অনুযায়ী মাদরাসার বিভাগসমূহের জন্য আইনকানুন প্রণয়ন করত: মজলিসে শূরা অনুমোদনক্রমে কার্যকর করা।

 

(১৮) মজলিসে আমেলার সভা
(ক) বৎসরে মজলিসে আমেলার অন্তত ৪টি বৈঠক অবশ্যই অনুষ্ঠিত হইতে হইবে।
(খ) সভাপতি বা মুহতামিম প্রয়োজন মনে করিলে সাধারণসভা ছাড়া মজলিসে আমেলার জরুরী সভা আহ্বান করা যাইতে পারে।
(গ) সাধারণ ও জরুরীসভার নোটিশ আলোচ্যবিষয়সহ যথাক্রমে কমপক্ষে সভার তিন ও একদিন পূর্বে মুহতামিমের দফতর হইতে অবশ্যই জারি করিতে হইবে।
(ঘ) চারিজন সদস্যের উপস্থিতিতে মজলিসে আমেলার কোরাম হইবে।
(ঙ) মজলিসে আমেলার কার্যকলাপ ১৪ নং ধারার (গ) অনুচ্ছেদ হইতে ১৫ নং ধারার
(গ) অনুচ্ছেদ মোতাবেক হইবে।
(চ) মজলিসে আমেলার সিদ্ধান্তের অবিকল নকল অনুমোদনের জন্য মজলিসে শূরার সভায় পেশ করিতে হইবে।

 

(১৯) মজলিসে ইলমী
(ক) শিক্ষা ও চরিত্র গঠনের উদ্দেশ্যে মজলিসে ইলমী (শিক্ষাপরিষদ) নামে একটি স্বতন্ত্র নিম্নপরিষদ থাকিবে। অধিকার ও কর্তব্য পালনে ইহা মজলিসে আমেলার নিকট দায়ী থাকিবে।
(খ) শিক্ষা পরিষদের পাঁচজন সদস্য হইবে। মুহতামিম ও প্রধান শিক্ষক পদাধিকার বলে ইহার সদস্য হইবেন। অবশিষ্ট তিনজন শিক্ষকগণের মধ্য হইতে মনোনীত হইবেন।
(গ) বৎসরের মধ্যে কোন পদ শূন্য হইলে পদমর্যাদার ক্রম অনুসারে ইহা পূরণ করা হইবে।
(ঘ) তিনজন সদস্যে শিক্ষাপরিষদের সভার কোরাম পূর্ণ হইবে।
(ঙ) মুহতামিম ও প্রধান শিক্ষক যথাক্রমে শিক্ষাপরিষদের সভাপতি ও সম্পাদক হইবেন।

 

(২০) শিক্ষা পরিষদের কর্তব্য ও অধিকার:

মজলিসে আমেলার নিকট হইতে শিক্ষাপরিষদের নিম্নলিখিত কর্তব্য ও অধিকার থাকিবে।
(ক) মাদ্রাসার শিক্ষা ও চরিত্র গঠন,পাঠ বণ্টন,পরীক্ষা গ্রহণ ইত্যাদি শিক্ষাবিষয়ক সকল কার্যের ইন্তেযাম করা।
(খ) উপরোক্ত ২০নং ধারার (ক) অনুচ্ছেদের জন্য আইনকানুন প্রণয়ন করা।
(গ) মুহতামিমকে শিক্ষা বিষয়ে পরামর্রশ প্রদান ও তাঁহাকে সাহায্য করা।
(ঘ) মাদরাসার প্রচলিত পাঠ্য তালিকায় কোনরূপ সংস্কার ও পরিবর্র্ধনের প্রয়োজনীয়তা বোধ করিলে এ সম্বন্ধে প্রস্তাবাদি সম্বলিত রিপোর্ট মজলিসে আমেলার নিকট পেশ করা।
(ঙ) কোন শিক্ষক বা কর্রমচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার মাধ্যমে মজলিসে আমেলা ও শূরার সহযোগীতা করা ।

 

(২১) মজলিসে ইলমীর (শিক্ষা পরিষদের) সভা
(ক) শিক্ষাপরিষদের বৈঠক নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রারম্ভে অবশ্যই আহবান করিতে হইবে। তৎপর কোন সময় সীমা নির্ধারণ ব্যতিরেকে প্রয়োজন অনুসারে ইহার বৈঠক অনুষ্ঠিত হইতে পারিবে। তবে প্রতি দু’মাসে একবার অবশ্যই আহবান করিতে হইবে।
(খ) শিক্ষাপরিষদের সভার নোটিশ আলোচ্য বিষয়সহ সভার অন্তত দুইদিন পূর্বে অবশ্যই জারি করিতে হইবে। কিন্তু জরুরী সভার নোটিশ সভার ৬ ঘণ্টা পূর্বে দিলেই চলিবে।

 

(২২) মজলিসে ইলমী (শিক্ষা পরিষদের)গঠন:
শিক্ষা পরিষদ বৎসরে একবার গঠিত হইবে

 

(২৩) সভাসমূহের আলোচ্যসূচী:
প্রত্যেক পরিষদের সম্পাদক স্বীয় পরিষদ সভার আলোচ্যসূচী প্রণয়ন করিবেন। প্রত্যেক পরিষদের সভাপতি,সম্পাদক ও সদস্যগণ যে সব প্রস্তাব আলোচ্যসূচী প্রেরণের দুইদিন পূর্বে সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রেরণ করিবেন,আলোচ্যসূচীতে এইগুলিও অন্তর্ভুক্ত হইবে। কিন্তু মজলিসে শুরার আলোচ্য বিষয় অবশ্যই মজলিসে আমেলার অনুমোদনক্রমে তৈয়ার করিতে হইবে।

 

(২৪) মাদরাসার মুহতামিম:
মাদরাসার সকল বিভাগের তত্ত্বাবধান এবং শৃৃঙ্খলা বিধানের নিমিত্তে নিম্নবর্ণিত গুনাবলি সম্পন্ন একজন মুহতামিম থাকিবেন।
(ক) আলেমে বা আমল হওয়া
(খ) তাকওয়া পরহেজগারীতে বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ও নির্ভরযোগ্য হওয়া
(গ) মাদরাসার মত ও পথের অনুসারী হওয়া
(ঘ) মাদরাসার হিতাকাঙ্খী হওয়া
(ঙ) স্বাধীনচেতা ও নির্ভীক হওয়া
(চ) দূরদর্শী ও কর্মক্ষমতায় বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হওয়া
(ছ) সৎস্বভাবী, সুস্থপ্রকৃতি বিশিষ্ট ও বিনয়ী হওয়া
(জ) হিসাব-নিকাশ ও জমা-খরচ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হওয়া
(ঝ) পরিচালনা কার্যে যোগ্যতা থাকা এবং
(ঞ) অভিজ্ঞতা সম্পন্ন থাকা (
ট) মুহতামিম অবৈতনিক হওয়া জরুরী নহে; বরং মজলিসে শুরা তাহার জন্য বেতন নির্ধারণ করিতে পারিবে
(ঠ) মুহতামিম মাদরাসার সকল বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা। তিনি কেবল মজলিসে শুরা ও মজলিসে আমেলার নিকট দায়ী থাকিবেন।

 

(২৫) মুহতামিমের কর্তব্য:

মুহতামিমের কর্তব্য নিম্নরূপ।
(ক) মাদরাসার যেসব দলীল ও কাগজপত্র এবং ফাইলের হেফাজত অতীব জরুরী সেইগুলি স্বীয় দফতরে সুশৃঙ্খলভাবে সংরক্ষণ করা।
(খ) মজলিসে শূরা, মজলিসে আমেলা ও শিক্ষাপরিষদের প্রস্তাবাদি ও সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন করা।
(গ) মজলিসে শূরা , মজলিসে আমেলা ও শিক্ষাপরিষদের সভার যথারীতি নোটিশ প্রদান করা।
(ঘ) ২৩নং ধারা অনুযায়ী সভার আলোচ্য বিষয় তৈয়ার করা এবং ১৮ (গ) ১৮ (ঙ) ধারা অনুসারে সদস্যগণের নিকট প্রেরণ করা।
(ঙ) মজলিসে শূরা, মজলিসে আমেলা ও শিক্ষাপরিষদের সভার কার্যবিবরনী লিপিবদ্ধ করা।
(চ) মাদরাসার মানি অর্ডার,ভি,পি,রেজিষ্ট্রিকৃত চিঠিপত্র ও দান গ্রহণ করা এবং দাতাদেরকে দস্তখত যুক্ত রশিদ প্রদান করা ।
(ছ) মাদরাসা সংক্রান্ত যাবতীয় চিঠিপত্র ও সেইগুলির উত্তর স্বীয় দস্তখতে প্রেরণ করা।
(জ) অপর কোন ব্যক্তি কোষাধ্যক্ষ না থাকিলে মাদরাসার অর্থের যথারীতি সংরক্ষণ করা।
(ঝ) মাদরাসার যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ এবং ওয়াকফ বা দানপত্রকৃত সম্পত্তি হস্তগত করা এবং সংরক্ষণ করা।
(ঞ) জমা খরচের ভাউচার পরিদর্শন করতঃ তহবিল পরীক্ষা করা এবং ভাউচার ও ক্যাশবুকে যথানিয়মে স্বাক্ষর করা।
(ট) স্বীয় অধিকারের আওতায় সাধারণ ও বিশেষ ব্যয় অনুমোদন করা এবং নিজস্বাক্ষরে চেক প্রদান করা।
(ঠ) মজলিসে আমেলার অনুমোদনান্তে প্রয়োজনীয় মুহুর্তে বিচারকার্যাদি সম্পন্ন করা এবং বিচার সংক্রান্ত কাগজপত্রে স্বাক্ষর করা।
(ড) সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহ হইতে আগত কাগজপত্রে নির্দেশাবলী লিপিবদ্ধ করা।
(ঢ) বিভিন্ন বিভাগের পদাধিকারী ও কর্মকর্তাগণের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাসময়ে সম্পাদন করানো।
(ণ) বিভিন্ন বিভাগের সহিত সংশ্লিষ্ট কর্মচারীগণের দরখাস্তাদি গ্রহণ এবং স্বীয় সীমা ও ক্ষমতার ভিতরে উহাদের উপর নির্দেশ প্রদান করা এবং স্বীয় ক্ষমতা বহির্ভূত বিষয়সমূহ মজলিসে শূরা বা মজলিসে আমেলার সভায় পেশ করার জন্য সংরক্ষণ করা।
(ত) ছাত্রগণের খাদ্য, কাপড়, কিতাব, বাসস্থান ও অন্যান্য প্রয়োজন সামর্থ্যানুযায়ী পূরণ করা।
(থ) সময় সময় সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহ পরিদর্শন করা এবং সংশ্লিষ্ট পরিদর্শনবহিতে পরিদর্শনের বিবরণ লিপিবদ্ধ করতঃ স্বাক্ষর করা।
(দ) বৎসরান্তে সারা বৎসরের আয়-ব্যয়ের হিসাব তৈয়ার করতঃ মজলিসে আমেলা কর্তৃক নিযুক্ত অডিটর দ্বারা অডিট করানো এবং মজলিসে শূরার অনুমোদনের পর অডিটকৃত হিসাব মাদরাসার বার্ষিক রিপোর্টে প্রকাশ করা।
(ধ) মাদরাসার বিস্তারিত অবস্থা ও বিবরণসহ বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করা।

 

(২৬) মুহতামিমের অধিকার:
মজলিসে শূরা হইতে মুহতামিম নিম্নলিখিত অধিকার লাভ করিবেন
(ক) তৃতীয় শ্রেণীর কোন কর্মচারী স্বীয় কর্তব্য পালনে অবহেলা ও ত্রুটি করিলে সংশোধনের জন্য তাহাকে তিনবার লিখিত নির্দেশ প্রদান করা। ইহাতেও সংশোধিত না হইলে শিক্ষাপরিষদের পরামর্শক্রমে মজলিসে আমেলার সভা পর্যন্ত তাহাকে সাময়িক বরখাস্ত করা এবং তাহার বিষয় মজলিসে আমেলার নিকটতম সভায় পেশ করা ।
(খ) তৃতীয় শ্রেণীর কোন কর্মচারীর কার্যকলাপ দ্বারা মাদরাসা অথবা তিনি যে বিভাগে নিয়োজিত আছেন সেই বিভাগের কোন ক্ষতি হইলে শিক্ষাপরিষদের পরামর্শক্রমে তাহাকে পদচ্যুত করা এবং মজলিসে আমেলার নিকটতম বৈঠক হইতে ইহার অনুমোদন গ্রহণ করা।
(গ) তৃতীয় শ্রেনীর ঊর্ধ্ববেতনভোগী কর্মচারী বা যে কোন গ্রেডের শিক্ষকের উপর অর্পিত দায়িত্বে অবহেলা বা ত্রুটি পরিলক্ষিত হইলে অথবা তাহার তরফ হইতে মাদরাসার শৃঙ্খলায় বিঘœ সৃষ্টিকারী কোন কাজ প্রকাশ পাইলে তাহাকে লিখিতভাবে সতর্ক করা অথবা সতর্ককরণ ব্যতিরেকে শিক্ষাপরিষদের সহিত পরামর্শান্তে মাদরাসার স্বার্থে প্রয়োজনবোধে সাময়িক বা স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করিতে পারিবেন এবং তাহা মজলিসে আমেলার পরবর্তী সভায় অনুমোদন করার জন্য পেশ করিবেন । তবে এই নাযুক ব্যাপারে শূরা ও আমেলার নিকট কঠোর জবাবদিহিতার জন্য অবশ্যই প্রস্তুত থাকিতে হইবে।
(ঘ) মাদরাসায় ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টিকারী অথবা মুহতামিম কর্তৃক বিঘোষিত আদেশের প্রতি বিদ্রোহী বা অবাধ্যতার সহিত তাহার আদেশ অমান্যকারী ছাত্রদিগকে সতর্ক বা বহিষ্কার করা।
(ঙ) ব্যবস্থাপনাবিভাগসমূহ এবং কর্মচারীগণের উপর অর্পিত দায়িত্বপালন সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক ফাইল তৈয়ার করতঃ মজলিসে আমেলার সভায় পেশ করা এবং অনুমোদনের পর উহা জারি করা।
(চ) আইনকানুন ও রীতিনীতি মোতাবেক সর্বপ্রকার নির্দেশ জারী করা ।
(ছ) আর্থিকবৎসর শেষে কোন খাতে প্রয়োজনের তুলনায় যদি আমদানীর কমতি দেখা দেয় তাহা হইলে আবশ্যক পরিমাণ অর্থ অন্য খাত হইতে কর্জ লইয়া কাজ চালাইয়া যাওয়া এবং ইহার লিখিত বিবরণ মজলিসে আমেলার নিকটতম সভায় পেশ করা।
(জ) স্বীয় অধিকার ও কর্তব্যসমূহের এক বা একাধিক অধিকার সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্য মজলিসে আমেলার অনুমোদনক্রমে নায়েবে মুহতামিম বা প্রধানশিক্ষকের উপর লিখিতভাবে অর্পণ করা।
(ঝ) দৈনন্দিন ব্যয়ের জন্য সর্বোচ্চ একসপ্তাহের আনুমানিক খরচ পরিমাণ অর্থ ব্যাংকে জমা না করিয়া মুহতামিম নিজহাতে রাখিতে পারিবেন। মজলিসে আমেলা এই আনুমানিক খরচের পরিমাণ নির্ধারণ করিবে।

 

(২৭) নায়েবে মুহতামিমের অধিকার ও কর্তব্য
(ক) মুহতামিম স্বীয় অধিকার ও কর্তব্যসমূহ হইতে যাহা নায়েবে মুহতামিমকে অর্পণ করেন উহাই হইবে তাহার অধিকার ও কর্তব্য ।
(খ) মুহতামিমের অবর্তমানে মজলিসে শূরা নায়েবে মুহতামিম ব্যতিত অপর কাহাকেও মুহতামিমের দায়িত্ব অর্পন না করিলে অপসারণ, নিয়োগ,পদোন্নতি ও পদাবনতি এবং পরিবর্তন ও স্থানান্তর করন ব্যতিত নায়েবে মুহতামিমের উপর মুহতামিমের সব অধিকার ও কর্তব্য অর্পিত থাকিবে।

 

(২৮) প্রধান শিক্ষক মাদরাসার প্রধান শিক্ষককে নিম্নবর্ণিত গুনরাজি সম্পন্ন হইতে হইবে:
(ক) মাদ্রাসার মত ও পথের অনুসারী হওয়া।
(খ) ইলমে দ্বীনের সর্ববিদ্যায় বিশারদ হওয়া।
(গ) তাকওয়া ও পরহেজগারীতে স্বীয় কাফেলার মধ্যে বিশিষ্ট ও সর্বজনমান্য হওয়া।
(ঘ) বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন ও নির্ভীক হওয়া।
(ঙ) বিনয়ী ও সৎ স্বভাবী হওয়া।
(চ) মাদ্রাসার হিতাকাঙ্খী হওয়া।
(ছ) শিক্ষার নিয়ম পদ্ধতি সম্পর্কে অভিজ্ঞ হওয়া।

 

(২৯) প্রধান শিক্ষক পদাধিকার বলে শিক্ষা বিভাগের নাযেম (সচিব) এবং যিম্মাদার হইবেন শিক্ষাপরিষদের সহায়তায় তিনি শিক্ষা বিষয়ের আঞ্জাম দিবেন এবং মজলিশে শূরা ও মজলিসে আমেলার নিকট দায়ী থাকিবেন।

 

(৩০) শিক্ষকগণের কর্তব্য মাদ্রাসার সকল শিক্ষককেই নিজ নিজ পদের জন্য কাঙ্খিত যোগ্যতার অতিরিক্ত নিম্নবর্ণিত গুনাবলির অধিকারী হইতে হইবে:
(ক) মাদ্রাসার মত ও পথের অনুসারী হওয়া।
(খ) ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে শরীয়তের পাবন্দ ও বিশ্বস্ত হওয়া।
(গ) আলেমের মর্যাদার খেলাফ চাল-চলন ও সং¯্রব এবং যদ্বারা মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুন্ন হয় তাহা হইতে দূরে থাকা।
(ঘ) মাদ্রাসার কোন স্থায়ী শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সময়ে অন্যত্র চাকরি করিতে পারিবেন না। কিন্তু ইহাতে মাদ্রাসার ও তাহার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে কোন ক্ষতি না হইলে মুহতামিমের অনুমতিক্রমে অন্য কাজ করা যাইবে। তবে উহাতে মাদ্রাসার কোন প্রকারের ফায়দা অবশ্যই থাকিতে হইবে।

 

(৩১) মাদরাসার ছাত্র
(ক) ভর্তির পর মাদ্রাসার ছাত্রদের নিকট হইতে কোন ফি নেওয়া হইবে না। বরং সামর্থ্যানুসারে নির্ধারিত নিয়মে তাহাদিগকে খোরাক , পোশাক, কিতাব, বসবাসের প্রয়োজনীয় দ্রব্য ইত্যাদির বন্দোবস্ত মাদ্রাসার পক্ষ হইতে করা হইবে।
(খ) মাদ্রাসার ব্যাবস্থাপনা ও শিক্ষা সংক্রান্ত ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ যে সব নির্দেশ আইন ও নিয়ম জারি করিবেন ছাত্রগণকে উহা অবশ্যই মানিতে হইবে।
(গ) চাল-চলন এবং বেশভূষায় ছাত্রদিগকে অবশ্যই শরীআতের পাবন্দ হইতে হইবে। বিরুদ্ধচারী,হঠকারী বহিষ্কারের যোগ্য হইবে।

 

(৩২) মাদরাসার সময় মাদ্রাসার শিক্ষা বৎসর সাধারণত ৭ই শাওয়াল হইতে শুরু হইয়া ২০ শে শাবান সমাপ্ত হইবে। কিন্তু হেফজ ও মক্তব বিভাগের শিক্ষা বৎসর ২৫ শে রমযান শেষ হইবে। তবে তালিম ও তারবিয়্যতের স্বার্থে উক্ত বন্ধে মুহতামিম মুনাসিব মনে করিলে ঐচ্ছিক বিশেষ শিক্ষার ব্যবস্থা করিতে পারিবেন।

 

(৩৩) মাদরাসার পরীক্ষা অত্র মাদ্রাসায় এবং ইহার সহিত সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসাগুলিতে বৎসরে ত্রৈমাসিক, ষান্মাসিক ও বার্ষিক এই তিনটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হইবে। কিন্তু প্রাইমারী স্তরে আর মজলিসে ইলমীর সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে যে কোন স্তরে এইসব পরীক্ষা ছাড়াও মাসিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হইবে। পরীক্ষাই ছাত্রদের তরক্কী, যোগ্য হওয়া না হওয়া এমনিভাবে ফ্রি খোরাকের অধিকারী হওয়া না হওয়ার মাপকাঠি। আর পরীক্ষার ফলাফলেই মাদ্রাসার শিক্ষাগত সাফল্য ও ব্যর্থতা নিরূপিত হইবে।

ঘোষনা

জনপ্রিয় কিতাব সমূহ