প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠাতা

কুতবুল আলম হযরত মাওলানা শাহ সুলতান আহমদ নানুপুরী রহ. একজন দূরদর্শী কারামতের অধিকারী আল্লাহর ওলী ছিলেন। নানুপুরী রহ. মুফতী আবূ সাঈদ সাহেব দা. বা. কে অত্যন্ত মুহাব্বত করতেন। হযরত তাঁর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে বুঝতে পেরেছিলেন, ভবিষ্যতে মুফতী সাহেবের মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা দ্বীনের অনেক কাজ নিবেন। তাই তিনি মুফতী সাহেবকে নিজ এলাকায় মাদরাসা প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দেন। মাদরাসা প্রতিষ্ঠার কথা শুনে মুফতী সাহেব দা. বা. এর পিতা জনাব মৌলভী আব্দুল লতিফ সাহেব আনন্দচিত্তে ৩০ শতক জায়গা মাদরাসার জন্য ওয়াক্ফ করে দেন। মুফতী সাহেব তাঁর পিতার দেয়া ৩০ শতক জায়গায় ২০ শাওয়াল ১৪১৫ হিজরী মোতাবেক ১৯৯৫ ঈসায়ী সনের ২২ মার্চ বুধবার একটি ক্বওমী মাদরাসার ভিত্তি স্থাপন করেন। উজানীর পীর হযরত মাওলানা মুবারক করীম সাহেব রহ. ও ফরিদাবাদ মাদরাসার তৎকালীন শায়খুল হাদীস আল্লামা আব্দুল হাফীজ রহ. সহ দেশবরেণ্য উলামায়ে কেরাম ও মাশায়েখে এযামের মুবারক হাতে এক অনাড়ম্বর রূহানী পরিবেশে খালেছ তাক্বওয়া ও ইখলাসের উপর স্থাপিত হয় মাদরাসার ভিত্তি। মাত্র ২৫ বছরের ব্যবধানে মাদরাসাটি দেশের প্রথম সারির দাওরায়ে হাদীস মাদরাসায় উন্নীত হয়েছে। অবকাঠামোগতভাবেও আশাতীত উন্নতি সাধন করেছে। ৩০ শতকের জায়গাটি বিস্তৃত হয়ে প্রায় ৪০০ শতকে পৌঁছেছে। আলহামদুলিল্লাহ বর্তমানে আরো বিস্তৃত হচ্ছে এবং হতে থাকবে ইনশা আল্লাহ।

 

প্রতিষ্ঠানটির পূর্ণ নাম: জামিয়া কুরআনিয়া ইমদাদুল উলূম ।
নামকরণ: উলূমে ইসলামিয়ার মূলউৎস মহাগ্রন্থ আলকুরআনের নামে অত্র মাদরাসার নামকরণ করা হয়। এমন নামকরণের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন হাদিয়ে যামান আরেফে রব্বানী ওলীকুল শিরোমণি হযরত মাও: সুলতান আহমদ নানুপুরী রহ.। তাঁর নির্দেশ ও রাহনুমায়িতেই অত্র জামিয়ার সূচনা।

ঘোষনা

জনপ্রিয় কিতাব সমূহ